![]() |
‣ সাফওয়ান আমিন |
ভয়
●
তুমি চলে গেলে গ্রামকে গ্রাম শূন্য করে যাওয়া
মহামারির মতো
সেই শূন্যতায় স্টেশন ছেড়ে গেল ট্রেন
যেন সহস্র গল্পের আকুতি নিয়ে...
বিপ্লবে
তছনছ হয়ে যাওয়া পুরোনো প্রথার মতো
তুমি অগত্যা চলে গেলে
চলে গেলে মৃত্যুর মতো পলকা জীবনকে রেখে
যেন হরিণ ছাবককে তুলে নিলো চিতা
সেই
থেকে বিপ্লবে বিপ্লবে প্রতিবিপ্লবের ভয়ে বাঁচি!
●
তুমি চলে গেলে গ্রামকে গ্রাম শূন্য করে যাওয়া
মহামারির মতো
সেই শূন্যতায় স্টেশন ছেড়ে গেল ট্রেন
যেন সহস্র গল্পের আকুতি নিয়ে...
তুমি অগত্যা চলে গেলে
চলে গেলে মৃত্যুর মতো পলকা জীবনকে রেখে
যেন হরিণ ছাবককে তুলে নিলো চিতা
●
চূড়ান্ত ঘৃণা পেরিয়ে, বারবার
ফুলের গুরুত্ব বুঝতে না পারা
মানুষের মতো
তুমি যতবার আরক্ত গোলাপ
পিষে পিষে গেছো
আমি ততবার তোমার পায়ের নিচে
পিষে পিষে গেছি
যেন চিতার আঘাতে হরিণের বুক
খুঁটে খুঁটে জেনে গেল বিরহ অসুখ
●
নৌকা চলে যাচ্ছে। শ্যালো মেশিনের শব্দ
দূরে গিয়ে শোনাচ্ছে কোথাও আগমনি গান
পতনমুখী সূর্যের পথ ধরে চলে যাচ্ছে
কারো আঁচল যেন ছুঁয়ে ছুঁয়ে যাচ্ছে জল
জলের সূর্যটি তখন ব্যর্থ কারো ফুল
বেতালে ভাসছে
ওই তো ঢেউয়ে ঢেউয়ে নৌকা চলে যাচ্ছে
এ-নদীর পাড়, কাঁপছি ভাঙন ভয়ে...
●
পালক পিছনে পড়ে গেলে
পাখিদের বিষণ্নতা আসে কিনা
জানি না! তয় তুমি শূন্যতায়
অন্ধকার লাগে, যেন আসেনি আলো
কালো কালো এই শূন্যতা।
এর তীক্ষ্ণ বেদন রোদনকে
উতরে যায় প্রায়ই, যেন হৃদয়
দু'ভাগ হয়ে যায়,
নকশীকাঁথার সুঁইয়ের মতো
পতনের সাক্ষী হতে যাই।
আমার এ-যাওয়া তবু
শূন্যতা ভেদ করে যাওয়া পর্যন্ত পৌঁছায় না...
●
বাজারে গেলেই বাবা
প্রতিদিন কী কী যেন আনে
এনে গুছিয়ে গাছিয়ে
শুমরে রাখে যত্নে-গোপনে
হয়তো কোনো সদাইয়ের পলিথিন;
আনে তো দেয় না কেন?
তো দেবে না কেন?
বছর কুড়ির কদমের গাছ আছে।
বাবা পরিচর্যা করে রোজ,
পরিচর্যা তার এমন যে,
কেবল মধ্যবয়সী ঐ
শিউলি গাছটা তীব্র ভালোবেসে।
পরের বাসি সকালে,
ঢালে শিউলির তলে,
আমাকে দেয় না কেন?
লোকে নাকি তাকে
পুত্র শোকের পাগল বলে?
এ আক্ষেপ শুনে, দুঃখে
বুঝেছি তাতে, ভাই আমার সন্দেশ পছন্দ করে
0 মন্তব্যসমূহ