সাম্প্রতিক প্রকাশিত

10/recent/ticker-posts

জন্মদিনে কবি হাদিউল হৃদয় —এর একগুচ্ছ ছড়া

 


ব্যাঙের রাজনীতি 
 
ঐ শোনা যায় গ্যাং গ্যাং
জুটছে যত কলা ব্যাঙ।
 
আষাঢ় মাসের বৃষ্টিতে
ব্যাঙ নামিল রাজনীতিতে।
 
মুখে বাজায় চং
লাফাইতে ভাংলো ঠ্যাং।
 
ব্যাঙের রাজার সেনাপতি ঘাপু
বলে চিন্তা কীসের বাপু।
 
সবাই বলে মানতে হবে দাবি
ঘাপু মিয়া মারলো তখন ডাবি।
 
সবাই এবার গেলো ক্ষেপে
ধরবে তার টুঁটি চেপে।
 
রাজা এলো ঘোড়ায় চড়ে
সবাই তখন পড়লো সরে
 
মিটলো এবার সকল আশা
দেখলো তাদের নেইকো বাসা। 
 
 
 
ড়ুইভাতি
 
আম বাগিচার তলায় যেন
মেলা বসেছে,
মন্টু, পিন্টু, হাসি, কান্না
সবাই এসেছে।
ধুলো বালি দিয়েও যদি
হচ্ছে তাদের রান্না,
রাঁধতে কিন্তু বসে গেছে
খুশি মনে কান্না।
হঠাৎ করে হাসি বললো
জবাই কর খাসি,
সবাই এবার শুনে কথা
জুড়ে দিল হাসি।
তৈরি হল নানা রকম
মজার মজার খাবার,
এক সারিতে বসে সবাই
করলো সবই সাবাড়।
খাওয়া দাওয়া শেষ করে
জুড়ে দিল খেলা,
হঠাৎ করে আঁধার নেমে
ডুবিয়ে দিল বেলা।
 
 
শিয়াল পণ্ডিত
 
শিয়াল পড়ায় আনা ঘানা
ছাত্র তার কুমির ছানা।
 
এক, দুই, তিন, চার
বইসা পর সার সার।
 
পড়াতো তাদের গ্যাং গ্যাং
পণ্ডিত টানে ছাত্রের ঠ্যাং।
 
যেই বলেছে স্যার স্যার
অমনি গিলে করলো সাবাড়।
 
খেয়ে মজা পাইল বেশ
ছাত্র তার হইল শেষ।
 
 
মায়ের ভাষা
 
মায়ের মুখে শেখা বুলি
গাইতে গেল যারা,
বায়ান্নর এই একুশে তাই
গুলি খেল তারা।
 
গুলি খেল বিদায় নিল
দিল তাজা প্রাণ,
তবুও তারা মায়ের ভাষার
রেখে গেল মান।
 
ভাষার কথা দাবিয়ে রাখতে
করলো গুলি যারা,
কি যে ভুল করলো সেদিন
ভালো না একটুও তারা।
 
বাঙালি সেদিন সজাগ হলো
নিল নব দীক্ষা,
একাত্তরে স্বাধিকার ছিনিয়ে নিয়ে
দিল উচিত শিক্ষা।
 
ছালাম, রফিক নাম না জানা
আর কত ভাই,
আজকে দেখ সব পেয়েছি
শুধু তোমরা নাই।
 
মোদের থেকে যুগ যুগ ধরে
শ্রদ্ধাঞ্জলি পাবে,
রক্ত তোমাদের বৃথা যায়নি
চির স্মরণীয় রবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ