ধেয়ানের
চৌকাঠ অবধি এসে পড়ি, ভেতরঘরে সাড়া পড়ে সত্য। কিন্তু পিঁড়ি এনে
রাখার পীড়া একনিষ্ঠ ছাড়া কে বইতে পারে এইখানে
ফেরত আসি ফের আগের আসনেই প্রত্যেক
প্রচেষ্টা এভাবেই খামতি ধরে রাখে। ধেয়ানের
দিকে ফিরে গেলে, ফিরে যেতে বলে ভেতরঘর থেকে প্রতিবারে
একটি করে দেয়াল যোগ হয় আগেরটার পরে বিশ্বাস
ঠেকে যায় অন্য মনে ওরা
কি ওদের লোককেই ডেকে নেয় শুধু অন্তঃপুরে! পৃথিবী বিপ্লব হতাশার
শেকল পায়ে রেখেই তবুও
যাই তোমার চৌকাঠে, ভ্রান্ত
আশা সরবরাহ করি— কখনো
থামবে হাহাকার এই বলে নিমন্ত্রণ
করে আসি বিষাদের। তুমি
ঋতুর মতো করে আসলে তখন অভাবের
পাত্রে চা পান করাই কিছু
আর্তের গান শুনতে শুনতে মৌন
থেকেই তোমার আসা বিষয়ে রোমাঞ্চিত হই। পৃথিবীর
বিপ্লবীর কী করার থাকে আর প্রেমিকার কাছে ফেরা
ছাড়া যখন
শেষ হয় সব অন্যায়। অভ্যন্তরীণ কোন্দল আমার
পায়ের আঙুলগুলো স্বাধীনতা চাইলো —দিয়ে
দিলাম। একইভাবে হাতেরগুলোও। একদিন
রাতে হৃৎপিণ্ডটা প্রেমিকের সঙ্গে পালালো জুটি
বেঁধে যারা ছিল সবাই প্রকৃত
স্বামী-স্ত্রী’র মতোই প্রথমে ঘুসাঘুসি, পরে
বিচ্ছেদে স্বাক্ষর করলো। অধোগাত্রে
অ্যাগারিকাস; বহু আগে যে নভেলটার অভাব বুঝেছি লিখতে
গিয়ে লাগে প্লটজুড়ে হাঁসের বাস। এতো
পারিপার্শ্বিক সংকরায়নে হাওয়ার ঠোঙা হয়ে উঠে ক্রমে
নিকটে সরে আসে কোনো পঞ্চাশ বাতাস।
0 মন্তব্যসমূহ