![]() |
|
রয়ে
গেছো প্রথম সুরের স্বরে
●
প্রথম থেকে আমারই আছো
আছো হৃদয়ের প্রথম সুরের স্বরে
কত চন্দ্রোভোগ অমাবস্যা কেটেছে
বাঁধভাঙা যৌবনের উপর দিয়ে—
তবু
কেউ পারেনি নিতে সেই মুহূর্তের স্বাদ—
যেমন
পারে না পুরুষ মা হওয়ার অনুভূতি!
হাঁসফাঁস করছি, নরক দেখছি যখন তখন
যেমনটা
হুকুম হওয়া ফাঁসির আসামি করে।
তোমার বুকে আশ্রিত হওয়ার উদগ্র বাসনা
এখনো আছে
রাস্তা বন্ধ
রাজবাড়ির সদরদরজায় লাগানো জীর্ণ তালা
একটা কুকুর পার হলো—মুখে প্রেমপত্র
আমি
পারিনি পৌঁছাতে।
হায়! তুমি যদি থেকে যেতে জন্ম দাগে হয়ে
তবু সামান্য অতৃপ্তি নিয়ে বাঁচি!
উড়ে যায় সুখ
●
চিরস্থায়ী নয় সুখ—ধরা দেয় ক্ষণিকে উড়ে যায় অসীমে
তবু
কিছু সুখ থেকে যায় গর্ভবতী মায়ের উদরে।
যে সুখ উড়ে যায়
খুজি-ফিরি সেই সুখ, খুঁজে খুঁজে ক্লান্ত
হারিয়েছি
আপন নীর,
ভুলেছি প্রান্ত,
অন্তরের
জ্বলন্ত মালশায় ফুটে তুলেছি আতুসি ফুল
চলছে জীবন, ভয়ংকর স্মৃতিভ্রম রোগে আমি আক্রান্ত।
সুখ আবাবিল পাখি
ধরা যায় না, ধরা দেয় না,
কিছু
সুখ থেকে যায় নব দম্পতির জীবনে
উড়ে যায় সুখ
ফেলে দিয়ে দুঃখের অন্তত ভাগাড়ে।
সুখ ফুরায়, ফুরিয়ে শেষ হয়
কিছু
সুখ থেকে যায়
সদ্য জন্মা সন্তানের পিতার অন্তরে।
উড়ে যায় সুখ
ফেলে রেখে করুণা
দিয়ে আফসোস এর দীর্ঘ নিশ্বাস।
আমার অভিযোগে তুমি অভিমানী
●
উড়ন্ত পাখির পালক খসে পড়ার আগেই
আলোর ঢেউ বারান্দা পেরিয়ে চৌকাঠ উজ্জ্বল
বারান্দা ও চৌকাঠের দূরত্ব ছিলো আলোকবর্ষ।
ছাতিমের গন্ধে বারান্দা পুলকিত
ছাতিম তার
সুরভি বিলিয়ে শতসহস্র প্রাণের তৃপ্তি উপভোগের খোরাক।
ভাসছি কক্ষপথে—
তোমাকে
মহাবিশ্বের কেন্দ্র বিন্দু মেনে।
আনন্দের রসদ তুমি
যে রসদে প্রাণ চঞ্চল সুপুরুষে
আমার অভিযোগে, তুমি অভিমানী
ভালোবাসি
বলেই
তোমার অভিমান বুকের তোরঙ্গে তুলে রাখি।
তুমি কি ঈশ্বরী
●
চোখে দুঃখ, পাপড়িতে কান্নার দাগ
তবুও
দুঃখ নামক নাওয়ের মাঝি হতে চাই
বাউন্ডুলে রেখায় আঁকা কাল্পনিক
ভাবনায় চক্কর।
বেনামি চিঠি আসছে নিয়মিত
চিঠির লেখক সহস্র প্রশংসায়
আবিষ্কার করেছে আমায় যা হৃদয়স্পর্শী
এ-যেন নতুন দুঃখ পাওয়ার কোনো মাধ্যম।
এতো মায়া মাখা কেন? —তুমি কি ঈশ্বরী!
ডেফিনেশন অফ লাইফ
●
গর্ভাশয় নামক মরুভূমিতে প্রাণ সঞ্চারণের জন্য ছোটাছুটি
হবে বলে পথগতি।
কোটি অশ্ব রাহির সাথে যুদ্ধ
পৃথিবীতে আসার লালসায় হয়ে অন্ধ।
বিজয়ের কেতনধারী হয়ে পৃথিবীতে এসে কখনো
রাহুর গ্রাসে আচ্ছন্ন,
প্যাপিরাসে
প্রজ্বলিত মেডিটেরিয়ান নক্ষত্র
বনবাঘের নিষ্পাপ শাবক
মদের গ্লাসের প্রথম চুম্বন,
মৃতবৎসা
নারীর মা হওয়ার অনুভূতি—
সব মিলিয়ে জীবন।
জীবন তো সাদা জবা—
ভালোবাসা
হচ্ছে মৌমাছির মধু
সুখ দুঃখ প্রকৃতির অনুকূল প্রতিকূল মুহূর্ত।
চিন্তা মননে জমা হয়ে হয় ঘোর
একটা সময় পর ঘোর অমানিশা উজ্জ্বল,
সংযত
উন্মাদনা,
ক্লেশ যাতনা, জাগতিক উৎফুল্লতা
বিপরীত
প্রেম কামনা নিজেকে আবিষ্কার করে জল্লাদ।
ডেফিনেশন অফ লাইফ বুঝতে পারার
আফসোস নিয়ে আগ্রহ প্রকাশ করা মাত্রই,
মৃত্যু
ভয়ে আঁটো-সাটো কবরের চিন্তায় চিন্তিত।
●
প্রথম থেকে আমারই আছো
আছো হৃদয়ের প্রথম সুরের স্বরে
কত চন্দ্রোভোগ অমাবস্যা কেটেছে
বাঁধভাঙা যৌবনের উপর দিয়ে—
হাঁসফাঁস করছি, নরক দেখছি যখন তখন
তোমার বুকে আশ্রিত হওয়ার উদগ্র বাসনা
এখনো আছে
রাস্তা বন্ধ
রাজবাড়ির সদরদরজায় লাগানো জীর্ণ তালা
একটা কুকুর পার হলো—মুখে প্রেমপত্র
হায়! তুমি যদি থেকে যেতে জন্ম দাগে হয়ে
তবু সামান্য অতৃপ্তি নিয়ে বাঁচি!
উড়ে যায় সুখ
●
চিরস্থায়ী নয় সুখ—ধরা দেয় ক্ষণিকে উড়ে যায় অসীমে
যে সুখ উড়ে যায়
খুজি-ফিরি সেই সুখ, খুঁজে খুঁজে ক্লান্ত
চলছে জীবন, ভয়ংকর স্মৃতিভ্রম রোগে আমি আক্রান্ত।
সুখ আবাবিল পাখি
ধরা যায় না, ধরা দেয় না,
উড়ে যায় সুখ
ফেলে দিয়ে দুঃখের অন্তত ভাগাড়ে।
সুখ ফুরায়, ফুরিয়ে শেষ হয়
সদ্য জন্মা সন্তানের পিতার অন্তরে।
উড়ে যায় সুখ
ফেলে রেখে করুণা
দিয়ে আফসোস এর দীর্ঘ নিশ্বাস।
আমার অভিযোগে তুমি অভিমানী
●
উড়ন্ত পাখির পালক খসে পড়ার আগেই
আলোর ঢেউ বারান্দা পেরিয়ে চৌকাঠ উজ্জ্বল
বারান্দা ও চৌকাঠের দূরত্ব ছিলো আলোকবর্ষ।
ছাতিমের গন্ধে বারান্দা পুলকিত
ছাতিম তার
সুরভি বিলিয়ে শতসহস্র প্রাণের তৃপ্তি উপভোগের খোরাক।
ভাসছি কক্ষপথে—
আনন্দের রসদ তুমি
যে রসদে প্রাণ চঞ্চল সুপুরুষে
আমার অভিযোগে, তুমি অভিমানী
তোমার অভিমান বুকের তোরঙ্গে তুলে রাখি।
তুমি কি ঈশ্বরী
●
চোখে দুঃখ, পাপড়িতে কান্নার দাগ
বাউন্ডুলে রেখায় আঁকা কাল্পনিক
ভাবনায় চক্কর।
বেনামি চিঠি আসছে নিয়মিত
চিঠির লেখক সহস্র প্রশংসায়
আবিষ্কার করেছে আমায় যা হৃদয়স্পর্শী
এ-যেন নতুন দুঃখ পাওয়ার কোনো মাধ্যম।
এতো মায়া মাখা কেন? —তুমি কি ঈশ্বরী!
ডেফিনেশন অফ লাইফ
●
গর্ভাশয় নামক মরুভূমিতে প্রাণ সঞ্চারণের জন্য ছোটাছুটি
হবে বলে পথগতি।
কোটি অশ্ব রাহির সাথে যুদ্ধ
পৃথিবীতে আসার লালসায় হয়ে অন্ধ।
বিজয়ের কেতনধারী হয়ে পৃথিবীতে এসে কখনো
রাহুর গ্রাসে আচ্ছন্ন,
বনবাঘের নিষ্পাপ শাবক
মদের গ্লাসের প্রথম চুম্বন,
জীবন তো সাদা জবা—
সুখ দুঃখ প্রকৃতির অনুকূল প্রতিকূল মুহূর্ত।
চিন্তা মননে জমা হয়ে হয় ঘোর
একটা সময় পর ঘোর অমানিশা উজ্জ্বল,
ডেফিনেশন অফ লাইফ বুঝতে পারার
আফসোস নিয়ে আগ্রহ প্রকাশ করা মাত্রই,
শাকিবুল শাকিল —এর কবিতা ভাবনা
কবিতা
প্রেমের অনুঘটক। কবিতা মেধা ও মননের মধ্যে সমন্বয় ঘটায়। কবিতা প্রেম, বিরহ,
ভালোবাসা, ন্যায় ও নীতির সাথে সমন্বয়
রেখে চলছে আদিকাল থেকেই। কবিতার জয় হোক, কবিতার মানুষের
জয় হোক।
0 মন্তব্যসমূহ