সাম্প্রতিক প্রকাশিত

10/recent/ticker-posts

আজ কবি-প্রাবন্ধিক হিরণ্য হারুন— এর জন্মদিন

হিরণ্য হারুন

কবিপ্রাবন্ধিক হিরণ্য হারুন এর  জন্ম ৩১ ডিসেম্বর। বসবাস বগুড়ায়। তিনি গণিতে স্নাতকোত্তর। বিজ্ঞান-গণিত-দর্শন-ধর্মকে একসূত্রে প্রকাশ করতে কবিতায় হাতেখড়ি শৈশব থেকে। সঙ্গীতভ্রমণপুরনো বইপত্রফিল্মপদার্থবিদ্যাজ্যোর্তিবিদ্যা ও নিঃসঙ্গতা তার প্যাশন। এখনো তার কোন বই প্রকাশিত হয়নি।

কবিতা বিষয়ক এক ফোটা হোমিওপ্যাথি 

কবিতা যেন গণিত হারিয়ে পাড়াগাঁয়ের চঞ্চল কিশোরী— সে নূপুর পায়ে কাদাজল ভিজিয়ে যাবে গ্রাম্য মেলায়। তার কোন কলঙ্ক নেইনেই সাতপ্যাঁচ— নেই প্রতিবেশী কথার খোঁচা। সে আপনাকে খুঁজতে খুঁজতে নদীর পাড় ভেঙে চলে। কবি নিরবচ্ছিন্নভাবে যাপন করেন কবিতায়। আলো যেমন চোখে নিরবচ্ছিন্ন ঠিক তেমন আবার কোয়ান্টামে সে বিচ্ছিন্ন কণা। আলোর মত দ্বৈত ধর্ম অনুভূতি আর শব্দের চালে কবিতা দাবা খেলে হারিয়ে দেয় চতুরঙ্গ শব্দের ব্যবচ্ছেদ করে। জলের শব্দে কবিতা রপ্ত হয় মিশে যায় রঙহীনশব্দে শব্দে নীল হয়ে ওঠে আকাশ। কবিতা মানবধর্মের অথবা মানুষের রঙহীন রঙিন— ভায়োলিন শব্দ। কবিতার থিম সুনির্দিষ্ট হতে পারে আবার নাও থাকতে পারে। কোনো বার্তা ছাড়াও কবিতা হতে পারে। ছককাটাছকে আঁকা কবিতার বৈশিষ্ট্য নাও হতে পারে। কবিতা একটা বিহঙ্গ— কোন কারণ ছাড়াই সে উড়তে পারেছাড়তে পারে ঘর। প্রকৃতি ভালো লাগলে কবিতা হোক প্রকৃতিরপ্রেম ভালো লাগলে কবিতা হোক প্রেমবিদ্রোহ ভালো লাগলে কবিতা হোক দ্রোহ। যার যেমন খুশিসে কবি হয়ে যাকমানুষ মাত্রই কবিকবি ছাড়া কেউ মানুষ নয়সে প্রাণী। জগৎ সংসারের এই খেলায় ছলে-বলে- কৌশলে দিন যায় যাপনেকবিতা আমাদের খোরাক হয়ে আসে মননে। মন চর্চায় গণিত বুঝে কবিতা পাঠ হয় মস্তিষ্কে। যাপিত জীবনে পঠিত গড়নে কবিতা তৈরি হয় চর্চা ও বোধে। বোধকে যথেষ্ট চর্চা বা অনুশীলন করলে তা কবিতাতে পরিবর্তিত হয়। ব্যক্তিগতপরিবেশগত ও প্রাকৃতিক নিয়ামক কবিকে নিমন্ত্রণ করে কবিতা লিখতে— ভাবনাচিন্তার সংজ্ঞাকে অসংজ্ঞায়িত করে লেখে ফেলি কবিতা।


সময় সর্বদা সংগ্রাম। মানব যাত্রা সংগ্রামের ও সত্যের। আন্দোলন-সংগ্রামেইতিহাসে কবিতা কতটুকুবিপ্লবপ্রতিবিপ্লবস্লোগানেমিছিলে মিশে আছে কবিতা— কবিতা কখনোই তার প্রয়োজনীয়তা বা উপযোগিতা হারায় না। কবিতা কবি’র কথা বলেএকজন কবি প্রকাশিত হোন তার কবিতায়কবিতাই একমাত্র তাকে ‘কবি করে তোলে’— সংজ্ঞায়িত করে তিনি একজন কবি!

 


নারী অথবা পৃথিবীর আয়ুকাল

সে একটি দর্শনযদি স্তনের উপর পাহাড়
বিভ্রান্ত করে পৃথিবীর আয়ুকাল
সে সন্তান নয়প্রেমিকা!
 
সমুদ্রে গিয়ে মায়ের চোখ দেখি—
আকাশ থেকে নেমে পড়া বৃষ্টি
নারীর চোখে
 
জীবন খুব হতাশার
পাখির চোখের দৃষ্টি এবং হৃদয়
প্রথম শরৎকালের বরফের মতো ভঙ্গুর।
 
 
যাত্রা বিরতিকালে ফুটে থাকা গোলাপ

জীবন যাপিত হয় বিচ্ছেদের মধ্য দিয়ে
ফিরে তাকাবেন না,
থামবেন না।
 
একটি আপেলের পরিবর্তে আপনাকে
উপহার দেওয়া হবে
আকাশ-বৃষ্টিতে সূচিকর্ম প্রফুল্ল ধ্বনি
উত্তরাধিকারসূত্রে অন্তহীন হাঁটার ঘড়ি।
 
কখনও বিচ্ছেদ নাআমি প্রস্তুত নই
বলে থামবেন না
স্মৃতি জমবে—
আয়ুকাল গোরুরগাড়ি যা মৃত্যু পর্যন্ত।
 

ধর্ম

পোশাক পরত পরতে মস্তিষ্কের চিন্তাচেতনা এমন হইছে যে,
একা নগ্ন থাকতেও লজ্জা লাগে।
 

আমরা

আমি-তুমি যেদিকে যাই আমরা
সমুদ্রপাহাড় অথবা পরম্পরা
কী দেখি আমরা দৃশ্যের তর
দু’জন দু’জনকে ছাড়া—প্রাণ শব্দের প্রতিধ্বনি
কিছুই তো নয়আমাদের কথোপকথন ছাড়া।
 
নিয়ম-রীতি মেনে সবতো তৈরি
পথপথিক আর পাখিদের জোড়া।
 
 
অ্যাস্ট্রোনমি

মাল্টিভার্সের ক্ষুদ্র ব্যবধিতে আমি প্রচার করি—আমি আমার ব্যক্তিগত প্রফেট
সময় একটি ছবি—জল দ্বারা আঁকা আমি’
তবু তোমারে বাসি ভালো
রাখিবো বুকের গহীনে
স্পন্দন অনুনাদে কম্পিত এ-হৃদয়
আমি তোমার নদতোমায় ভালোবেসে সময়ের প্রপাত
আলো যেভাবে চলে ফোটন কণা নিয়েকণা অথবা তরঙ্গ যতই হোক দ্বৈতধর্ম
তুমি আর আসিবে নানা আসিয়ে থাকিতে পারিবে না
আমারে নিয়ে ভালো না থাকলেও আমাকে ছাড়াও থাকবে না ভালোসময়ের
প্রবাহে সব যে আঁকা আলো—
 
 
মার্কসীয় নকশী কাঁথা

জলে নিভে না যে অনলপাঠক বোঝে না যে কবিতা
একটু ব্যবহারিক বিস্ময়ে কবি শিবলী মোকতাদির
গণিত বোঝেসংখ্যার বোঝা— গণিতের শিক্ষিকা!
পাঠকের মস্তিষ্কে নীলবিষ চাষ কোরে
শিশিরের মতো অশ্রু ঝরেএই বুঝি গেলো মরে
মরে নাইপুঁটি মাছ নয়নয় কৈ মাছ
অনুভূতির অনুভবেঅনুভূতিতে তাড়া খাওয়া মাছ।
 
তুমি পাড়াগাঁয়ের কিশোরী স্বচ্ছ শব্দে
সূঁচ ফুটিয়ে পায়ের তালুতে আঁকো সবুজ নকশী কাঁথা
করতোয়া নদীর জলে আমি ঠিক করি চুলের ভাঁজ
মনে করি জল-ই জীবনজল-ই রসায়ন।
জল’ শুনেই—তুমি ভাবলে আমি জাতে-পাতে কী?
 
আমি জাতিস্মর! প্রেমিক হয়েছি মার্কসীয় দর্শন পড়ে
জলে নিভে না আমার প্রেমিক হওয়ার অশ্রুত অভিমান...
 
 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ