![]() |
তৃণলতা কুরচি’র কবিতাগ্রন্থ ‘বকুলের পাপড়িতে ছাতিমের ঘ্রাণ’ |
কবিতা অনুভূতির ব্যাপার। স্মরণীয় পঙক্তিই কবিতা—রবার্ট
ফ্রস্ট এমন কথাই বলেছিলেন। কবিতা
মানুষের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ে, অনুভূতির বাহক হয়ে। কারো কবিতা বা কবিতা বই নিয়ে আলোচনা
করা তাই কঠিন, সত্যি বলতে নিরেট কঠিন। স্মরণীয় হলেই সেটা ভালো
কবিতা হবে কি না, সে বিষয়ে সন্দেহ আছে। ভিন্ন কারণে অনেক
সাধারণ লাইনও শতাব্দীর পর শতাব্দী টিকে থাকে। “মানুষ নিকটে গেলে প্রকৃত সারস উড়ে
যায়।” বিনয় মজুমদারের এই লাইনটি কত
বছর টিকে থাকবে তা গণিতে অনির্ধারিত।‘ বাসি হওয়ার অপরাধে একদিনতোমায় খুন করব, বকুল/ ..... বুদ্ধপূর্ণিমার
রাতে সূর্যমুখীর বনেশেষবার এবং অনন্তকালের জন্যতোমায় আমি খুন করব, বকুল!’কবি তৃণলতা কুরচি’র এই অনুভূতির ব্যাখ্যা করতে
চাওয়াটা বোকামি। প্রেম
গাথা বিরহের এক অনন্য অনুভুতির ব্যাখ্যা কবিতা
পঙ্ক্তিতে থাকুক। ‘বকুলের পাপড়িতে
ছাতিমের ঘ্রাণ’ যেন ছড়িয়েছে ভ্যান গঘ এর হলুদ মাঠে বা বুলেট বিদ্ধ হওয়ার শেষ
দৃশ্যে।‘হেমন্ত মানে পাতাদের হলুদ রঙআর হলুদ মানে সূর্যমুখীর বন সূর্যমুখীর বন মানে ভ্যান গঘআর ভ্যান গঘ মানে তুমি!’ কবিতাগুলোতে ফুটে
উঠেছে এক জটিল সম্পর্কের ব্যক্তিগত ও পারিপার্শ্বিক অনুভূতি—যেখানে
প্রেম, বিরহযাপন, স্মৃতি, অনুভূতির ঘ্রাণ মিলেমিশে ‘বকুলের
পাপড়িতে ছাতিমের ঘ্রাণ’ ‘ক্ষতকে বোধের বধির করে দেবে ক্ষুরধার তৃণ’ তৃণলতা কুরচি।
আর হলুদ মানে সূর্যমুখীর বন
0 মন্তব্যসমূহ