সাম্প্রতিক প্রকাশিত

10/recent/ticker-posts

তাসবীহ্ ইসলাম ─এর তিনটি প্রেমের কবিতা


 হাসি


চোখে আগুন নিয়ে বসেছিলাম

কয়েক কোটি বছর

জ্বলে জ্বলে পুনরায় জন্ম নিচ্ছিল চোখ।

দিকবিদিক দৃষ্টি ছুটেছিল,

অন্ধকারকে ভিজিয়ে দিচ্ছিল বারাংবার। 

মাছের চোখের মতো পলকহীন চোখ জোড়া

খুঁজে খুঁজে মরছিল প্রেমিকের একফালি রোদ মাখা হাসি

যে হাসি চোখে লেগে থাকে 

অনায়াসে কয়েক লক্ষ অথবা কোটি বছর

চোখের আগুন নেভায়─ তপ্ত চোখে বরফ জমায়।



নীলকান্ত


নীলকান্ত, কখনো দেখেনি প্রেমিকার প্রেমাক্রান্ত চোখ

যে চোখে ডুব দিয়ে সানন্দে

অস্বীকার করা যায় পৃথিবীকে

সে বোঝেনি উচ্ছ্বল প্রেমিকা কেন ঢাকে মুখ

আহ্লাদিত প্রেমিকের বুকে।


নীলকান্ত, পায়নি কোনো শীতল হাতের শুভ্র আদর

পরম মমতায় তার পথে বিছায়নি কেউ প্রেমচাদর!

সে উদ্ভাসিত মুখোশে মুখাবয়ব ঢেকে

হাঁটে পৃথিবীর পথে

গণিকার শরীর খুঁড়ে চলে স্বেচ্ছাবিহারী হাতে

আলো ভেবে ভুল করে নিজেকে মেশায় আঁধারের সাথে।


নীলকান্ত, মদের গেলাসে ডুবে গিয়ে হাতড়ায় সুখ

অথচ হৃদয়ে তার শুয়ে থাকে অবাধ্য অসুখ!



আমার প্রেমিক ছিল


দুই লক্ষ বছর আগে হাত যার স্পর্শ পেয়েছিল

সে ছিল আমার প্রেমিক ।

তোমরা কি তাকে কোথাও দেখেছো?

ভুলে গেছি তার অবয়ব─ মনে আছে তার চোখ রক্তকরবী! 

রক্তাক্ত দৃষ্টিতে শুধু ছিলো প্রেম।


আমার প্রেমিকের চোখে আগুন ছিল না 

চোখ ছিল শীতল─

চোখ বয়ে এনেছিল অমরালয়ের শোভন কিরণ।

চোখে কোনো পুরুষের ছায়া ছিল না, যিশুর মত সুন্দর চোখ।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ