অপেক্ষা পতঙ্গ
ফিরে গেলে রতিক্লান্ত ফুলগুলো ঝরে
পড়ে ভোরের উঠোনে শেষ
হাওয়া যায়, সুখ নিরবতায় উঠবার
প্রয়াস যতনে একে
একে পুরনারী হারায় চালচুলো ভরাকটালের
কালে একূলে মাঝি ছিলো এখন
ফিরতি টান ঘরে চোখের
জলে হায়,
রাধার প্রাণ যায় কৃষ্ণ
চলে যমুনার চরে― ফুলের
প্রতীক্ষা, পতঙ্গ কথা দিয়েছিলো।
ঠিকানা যে
মাঝির হাল গেছে, পাল গেছে সে
মাঝিই জানে তটিনীর বাঁক তাকে কতটুকু টানে যে
বধূর স্বামী গেছে, আমি গেছে সে
বধূই জানে কূলহারা
স্বামী তার কতটা পরানে। তৃষ্ণক
মধ্যরাত অনেকটা
প্রহর শেষে কেউ পথের দেখা পেলো পথিক
কি? জানা
নেই,
শুধু তৃষ্ণক মধ্যরাতে আমনক্ষেতে
ফুটেছিলো ফুল আর
ঘটেছিলো পরাগায়ন― নদীবিদ্যা
শেষে খড়কুটো গৃহস্থে মিটেছিলো
কৃষান-কৃষানির তৃষ্ণা পথিমধ্যে
পথিক একা-একাকার মিলেছে
কী? জানা
নেই,
শুধু তৃষ্ণক মধ্যরাতে আমনক্ষেতে
ফুটেছিলো ফুল, আর...
0 মন্তব্যসমূহ